গত কাতার বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ইতিমধ্যেই শুরু করেছে পরবর্তী বিশ্বকাপের জন্য নিজেদের অভিযান। এ মাসে ইতিমধ্যেই আলবিসেলেস্তেরা ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিতের জন্য বাছাইপর্বের দুইটি ম্যাচ খেলেছে। ইকুয়েডর এবং বলিভিয়ার বিপক্ষে খেলা ম্যাচ দুটিতে জয়ও পেয়েছে লিওনেল স্কালোনির দল। বাছাইপর্বের দুইটি খেলার মধ্যে শুধুমাত্র ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচটিতেই খেলেছেন মেসি।
ঘরের মাঠ ব্যুয়েন্স এইরেসের স্তাদিও মনুমেন্তালে ফ্রি কিক থেকে করা ফুটবল জাদুকরের গোলেই সেদিন জয় পেয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। এদিকে সেদিন গোল করে দলকে জয় এনে দিলেও ক্লান্তিতে অবসন্ন হয়ে পড়েছিলেন মেসি। ফলে ম্যাচের ৮৯ মিনিটে স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়েন তিনি। এরপরই ওঠে তাঁর চোটে পড়ার গুঞ্জন। তবে এলএমটেন নিজে জানিয়েছিলেন, টানা খেলার ধকলে ক্লান্ত তিনি।
এদিকে চোট বা ক্লান্তি যাই হোক, বলিভিয়ার বিপক্ষে বাছাইপর্বের পরের ম্যাচে মেসি খেলবেন কি না তা নিয়ে ছিল সংশয়। তবে শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, মেসিকে ছাড়াই একাদশ সাজিয়েছেন বিশ্বজয়ী কোচ স্কালোনি। এমনকি সে ম্যাচের স্কোয়াডে পর্যন্ত রাখা হয়নি ফুটবল জাদুকরকে। বলিভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি পরে ৩-০ গোলে জিতেছে আর্জেন্টিনা।
আর পুরো ম্যাচটি ডাগ-আউটে বসে দেখেছেন মেসি। কিন্তু কীভাবে? স্কোয়াডে না থাকলে তো সেখানে থাকার অনুমতি নেই কারো। এখানেই ঘটেছে অবাক করার মত এক ব্যাপার। টিএনটি স্পোর্টসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দল এবং সতীর্থদের সমর্থন দিতে তাদের সঙ্গেই থাকতে চেয়েছিলেন মেসি। আর তাই ফিফার সহকারী কোচের ফর্ম পূরণ করেছিলেন মেসি। এবং সেটা অনুমোদিতও হয়েছিল।
এর ফলে বলিভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে যে মেসিকে দেখা গেছে ডাগ আউটে তিনি আসলে ফুটবলার মেসি ছিলেন না। ছিলেন আর্জেন্টিনার সহকারী কোচ মেসি। এর মাধ্যমে মেসির উপস্থিতি যেমন দলকে যুগিয়েছে আত্মবিশ্বাস ঠিক তেমনি ফুটবল জাদুকর নিজেও পেরেছেন সতীর্থ এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে থেকেই জয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে।